গতকাল মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শেষ নয় মাসে বাংলাদেশ খেলেনি কোনো ম্যাচ। তবে এই নয় মাস বন্ধ ছিল না নারী দলের ক্যাম্প। গোলাম রব্বানী ছোটনের অধীনে নিয়মিত অনুশীলন করেছে মেয়েরা।
টানা কঠোর অনুশীলন এবং দলের সবার নিজেদের প্রতি বিশ্বাসের কারণে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বড় জয় এসেছে বলে মনে করছেন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় সানজিদা আক্তার।
আরো পড়ুন: ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
নয় মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেই মালয়েশিয়াকে ৬-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। পাঁচ বছর আগে যে দলের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল সেই মালয়েশিয়াকে নিয়ে কাল কমলাপুরে ছেলে খেলায় মেতে ওঠে কৃষ্ণা-সানজিদারা। গোটা ম্যাচ জুড়ে ফুটবল পায়ে সুরভি ছড়িয়েছে মেয়েরা।
এত বড় ব্যবধানে জয় মেয়েদের কাছে নতুন কিছু নয়, বয়সভিত্তিক দলে প্রতিপক্ষকে গোল বন্যায় ভাসিয়েছে। সিনিয়র দলও পেয়েছে বড় জয়। আফগানিস্তান, মালদ্বীপের বিপক্ষে ছয় গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছে।
অবশ্য সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও র্যাংকিং বিবেচনায় এই ম্যাচের আগে ক’জনই বা ভেবেছিল এত বড় জয় পাবে বাংলাদেশ! ভাবতে পারেননি ফুটবলাররাও। তবে মেয়েদের বিশ্বাস ছিল তারা জিতবে কিন্তু বড় ব্যবধানের জয় তাদের ভাবনাতেও ছিল না।
টানা অনুশীলনের মধ্যে থাকা এবং ফিটনেসে উন্নতি মেয়েদের বিশ্বাস জুগিয়েছে। সেই বিশ্বাসই মাঠে বাস্তবে রূপ দিয়েছে বলছেন সানজিদা আক্তার। সানজিদা বলেন,’ম্যাচের আগের দিন বাফুফেতে অনেক সাংবাদিক এসেছিল।
কয়েকজন বলা বলি করছিল মালয়েশিয়ার বিপক্ষে পারব না আমরা, ওরা র্যাংকিংয়ে এগিয়ে। এটা শুনে মনের মধ্যে জেদ তৈরি হয়, আমরাও যে পারি সেটা দেখিয়ে দিতে চাচ্ছিলাম। এত দিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছি, সবাই এক সঙ্গে আছি।
তাই নিজেদের প্রতি বিশ্বাস ছিল আমরা পারবোই। সবাই সেরাটা দিয়ে খেলেছে। এখন দ্বিতীয় ম্যাচে লক্ষ্য থাকবে আরও ভাল পারফরম্যান্স করা। ‘ আগামী ২৬ জুন কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে মালয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।